আগে ভালো অভিনয় করতাম

ভিডিও স্ট্রিমিই সাইট ‘ভিমিও’তে দেখা যাচ্ছে সুনেরাহ বিনতে কামাল অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মশারি’। দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যালে সমাদৃত ও পুরস্কৃত হয়েছে নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত এই ছবিটি। এ ছাড়া সম্প্রতি ‘জয় বাংলার ধ্বনি’ নামের নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সুনেরাহ। সবকিছু নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন আমাদের সঙ্গে।

মশারি দেখে সবাই কী বলছেন?

যারা এখন পর্যন্ত দেখেছেন সবাই তো খুব প্রশংসা করছেন। এটা আমার জীবনের শুরুর দিকের অভিনয়। খুব উপভোগ করেছি অভিনয় করতে গিয়ে। তবে এটা বড় পর্দায় দেখাতে পারলে খুব ভালো হতো। কিন্তু সেই সুযোগ তো নেই।

মশারির শুটিং কবে হলো এবং কীভাবে যুক্ত হলেন?

শুটিং হয়েছে ২০১৯ সালের দিকে। আগে থেকেই আমার আর নুহাশ হুমায়ুনের ভালো বন্ধুত্ব। তো ও একদিন আমাকে বলল, ‘একটা সিনেমা বানাব। ছোট বোনের চরিত্রটা আমার ভাগ্নি করবে আর বড় বোনটার জন্য তোমার পরিচিত কাউকে দাও। আমি কয়েকটা মেয়েকে রেফার করি। কিন্তু নুহাশের ভালো লাগেনি মনে হয়। পরে আবার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু ওর পছন্দ হয় না। সেদিন আমাকে মজা করে বলে, তুমিই করতে পার। কিন্তু তোমাকে বলতে ভয় পাচ্ছি। তুমি তো অলরেডি সেলিব্রেটি।’ আমি স্ক্রিপ্ট চাই। বলে- নাই। বলি কোথায় যাবে এই সিনেমা। বলে- জানি না। তারপর আর কী। বন্ধু বলেছে, করে ফেললাম।

তখন তো নুহাশ ও আপনি দুজনই ক্যারিয়ার শুরু করছেন!

একেবারেই তাই। কিন্তু নুহাশ বলেছিল এই গল্পটা সে ওর ১৪ বছর বয়সে ভেবে রেখেছে। এতদিন গল্পটা পুষে রেখেছিল। ফাইনালি সেটার শুটিং শেষ করে এখন সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে। আমারও তখন ‘ন ডরাই’-এর শুটিংটা শেষ করে মুক্তির প্ল্যান চলছে মাত্র।

কদিন আগে আপনি জয় বাংলার ধ্বনি নামের একটা নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলেন।

এটার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পেছনে আমার বাবার ভূমিকা আছে। ঘটনাটা বলি, সকালে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে নাশতা করি। তো আমার কাছে স্ক্রিপ্টটা যাওয়ার পর নাশতার টেবিলে বসে উল্টে পাল্টে দেখছিলাম। বাবা জানতে চাইলেন কী ওটা? বললাম অনুদানের সিনেমার স্ক্রিপ্ট। তারপর জানতে চাইল, কী নিয়ে গল্প। বললাম, মুক্তিযুদ্ধের। তারপর তিনি খুব উৎসাহ দিয়ে বললেন, এটা করো তুমি মা। অনুদান এবং মুক্তিযুদ্ধ দুটোই যখন আছে। করা উচিত আমার।

আপনার ক্যারিয়ারের তো চার-পাঁচ বছর হয়ে গেল। নিজের অভিনয় নিয়ে মন্তব্য কী?

সত্যি কথা বলতে আমার মনে হয় এখনকার চেয়ে আগে ভালো অভিনয় করতাম। মশারিতে সেই প্রমাণ আছে। তখন ডিরেক্টর বুঝিয়ে দিতেন আমার মতো করে শট দিতাম। পরে বিভিন্ন মানুষের কথা শুনে অভিনয়ে সমস্যা হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে আমার যেভাবে ভালো লাগবে সেভাবেই করব। কারও কথা শুনব না।

scroll to top