প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব এনামুল হক। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী তাকে স্মরণে নাচ, গান, নাট্যকোলাজ, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও কথামালার মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে। এর আয়োজন করেছে এনামুল হকের গড়া নাট্যদল নাগরিক নাট্যাঙ্গন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এই আয়োজন হয়। ‘মহাকালের ঘোড়সওয়ার ড. ইনামুল হক’ শিরোনামের এই আয়োজনের শুরুতেই প্রয়াত এই নাট্যজনের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর বাঁশি ও ভায়োলিনের সুরে আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়। পরে আজাদ আবুল কালামের সঞ্চালনায় গুণী এই অভিনেতার জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।
নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, একটা সরল মানুষ, সাধারণ মানুষ। কিন্তু অসাধারণ তার চিন্তা এবং শিল্পযাত্রা। স্বাধীনতার আগে থেকেই আমাদের পরিচয়। স্বাধীনতার পর আমি যখন ফিরে এলাম তখনও ইনামের সাথে নাটক নিয়ে প্রচুর কথা হয়েছে। ইনামের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল।
অধ্যাপক আব্দুস সেলিম বলেন, ইনামুল হকের সাথে আমার পরিচয় ১৯৭৬ সালে ৷ পরে যখন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রযোজনায় গ্যালিলিও দেখি, তখন অনেক আলাপ হয়েছে। এরপর ইনামুক হক, লাকী ইনাম যখন নাগরিক নাট্যাঙ্গন করেন, তখন আমার অনুদিত নাটকও করেছেন। ইনামুল হক, তার স্ত্রী লাকী ইনাম এবং তার মেয়ে এবং মেয়েদের জামাতারাও শিল্পচর্চায় যুক্ত। তারা পুরো বাড়িটিই শিল্পবাড়ি।
সবশেষে মঞ্চায়ন হয় ইনামুল হকের লেখা তিনটি নাটকের কোলাজ ‘একাত্তর ও একজন নাট্যকার’।
মেয়ে হৃদি হকের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় অভিনয় করেছেন নাটকের দল থিয়েটার, আরণ্যক, সুবচন, প্রাচ্যনাট, নাট্যম, প্রাঙ্গণেমোর, বটতলা, থিয়েটার আর্ট ইউনিট, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও নাগরিক নাট্যাঙ্গনের শিল্পীরা।