বিগত কয়েক বছর যাবৎ নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলেও ফিরেছেন স্বমহিমায় ও আপন আত্মবিশ্বাসে। যার ফলস্বরূপ এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কাঞ্চন- নিপুন প্যানেলে কার্যকরী সদস্য পদে ২১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে শিল্পী ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের গ্রহণযোগ্য অবস্থান জানান দিতে সক্ষম হয়েছেন।
চলচ্চিত্রের সারা জাগানো এক সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা কেয়া মাত্র ১৪ বছর বয়সে নজরকাড়া গ্ল্যামার নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে এসেছিলেন। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কঠিন বাস্তব’ ছবি দিয়ে শুরুতেই দারুণ প্রশংসিত হন। ওই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন রিয়াজ ও আমিন খান। এরপর প্রায় এক ডজন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন চিত্রনায়িকা হিসেবে।
চলচ্চিত্রের সারা জাগানো এক সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা কেয়া মাত্র ১৪ বছর বয়সে নজরকাড়া গ্ল্যামার নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে এসেছিলেন। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কঠিন বাস্তব’ ছবি দিয়ে শুরুতেই দারুণ প্রশংসিত হন। ওই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন রিয়াজ ও আমিন খান। এরপর প্রায় এক ডজন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন চিত্রনায়িকা হিসেবে।
কেয়ার অভিনয় নৈপুণ্য দেখে কেউ কেউ বলেছিলেন ‘এই মেয়েটিই হবে ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক নম্বর নায়িকা।’ অনেকেই দারুণ সম্ভাবনা দেখেছিলেন এ অভিনেত্রীর মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র থেকে হারিয়ে যান কেয়া। ২০০৮ সালে জুবায়ের নামের এক প্রবাসীকে বিয়ে করে পাড়ি জমান আমেরিকায়। ।
২০১৩ সালে চলচ্চিত্রে ফিরে নায়ক রাজ্জাকের সিনেমা ‘আয়না কাহিনী’ প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটিতে কেয়ার অভিনয় প্রশংসিত হয়। মাঝখানে কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে বেশ সমলোচিত হন কেয়া। নামধারী এসব পণ্যে বেশ খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করা হয় তাঁকে। তবে এখন আবার চলচ্চিত্রে ফিরে এসেছেন কেয়া। রাকিবুল আলম রাকিবের ‘ইয়েস ম্যাডাম’ ছবি দিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন। একই পরিচালকের ‘সীমানা’ নামের আরেকটি ছবিতে অভিনয় করছেন। এছাড়া আলী আজাদের পরিচালনায় ‘বনলতা’, জি স্বাধীনের পরিচালনায় ‘কথা দিলাম’ নামের দুটি ছবিতে কাজ করছেন। ইভান মল্লিকের পরিচালনায় ‘মোনাফিক নামের একটি ছবিতে সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন।
তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে-কঠিন বাস্তব, সাহসী মানুষ চাই, রংবাজ বাদশা, ভালোবাসার শত্রু, হৃদয়ের বন্ধন, পাল্টা আক্রমণ, আন্ডারওয়ার্ল্ড, দিওয়ানা মাস্তানা, তুমি কি সেই, বন্ধু তুমি শত্রু তুমি, তুমি শুধু আমার, আন্ডারওয়ার্ল্ড।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই-
যতদিন বাঁচবো চলচ্চিত্র নিয়েই থাকতে চাই। চলচ্চিত্র আমার পরিবারের একটি অংশ। যেখানেই থাকি কিংবা যেখানেই গিয়েছি সব সময় এই অঙ্গনটিকে অনুভব করেছি। ভবিষ্যতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে থেকে চলচ্চিত্রের ও শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চা
ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারে অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন, ফিরে আসার গল্পটা শুনতে চাই-
চলচ্চিত্রের কাজ করেছি বলেই জীবনে অনেক রঙিন ও কঠিন বাস্তবতার আয়নায় নিজেকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি । সমালোচনার উর্ধ্বে কেউ নয় তবে সমালোচনায় ভেঙে পড়িনি বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছি।