মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড শুনানি চলাকালে ৪০ মিনিট তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় তাকে চিন্তিত দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। পরীমনি এজলাসে আসার সাথে সাথে তার এক আইনজীবী তাকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন
রাত ৮টা ৩১ মিনিটে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ এজলাসে ওঠেন। এরপর পরীমনির পক্ষে আদালতে লড়তে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কে পরীমনির পক্ষে ওকালতনামা দেবেন তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। একপর্যায়ে রাত ৮টা ৩৬ মিনিটে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
এজলাস ত্যাগের আগে আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আগে আপনারা ঠিক করেন, কে আসামির আইনজীবী হবেন। তারপর শুনানি হবে।’এরপর পরীমনি ঈশারা করে আইনজীবী নিলঞ্জনা রিফাতকে তার আইনজীবী নিয়োগ করেন।
৮টা ৫৩ মিনিটে আবার এজলাসে আসেন ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ। এরপর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের পুরো সময় পরীমনি চুপচাপ ছিলেন। রাত ৯টা ৮ মিনিটের দিকে তাকে আদালত থেকে বের করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়েছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।