প্রায় ১ ঘণ্টা র্যাবের অভিযানের পর বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেল ৪ টের দিকে তার ফ্ল্যাটে অভিযান শুরু করে র্যাব-১ ও র্যাব সদর দপ্তরের একাধিক টিম।অন্যদিকে, তাঁর ফ্ল্যাটে বুধবার বিকেলে র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যদের দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি লাইভে অভিযোগ করেন, তার ফ্ল্যাটে ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
কিছুদিন আগেই রাজধানী থেকে পিয়াসা ও মৌ নামে দুই মডেল গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বাড়ি থেকে বিপুল মদ ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। আজ বিকেলে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাঁকে আটক করা হয়। তবে র্যাবের তরফ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে জনপ্রিয় এই নায়িকার ফ্ল্যাটে অভিযানের খবর পেয়ে তার বাড়ির সামনে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করে। রাস্তা থেকে জনতাকে সরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়। তারা রাস্তায় থাকা মানুষদের সরিয়ে দেওয়ার কাজটি করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে এমন উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পরীমণির বাড়ির সামনে মাইকিং করছেন বনানী সোসাইটি।
এদিকে র্যাবের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি লাইভে অভিযোগ করেন, তার বাড়িতে ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন মূলত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই লাইভ এর নাটক তৈরি করে সবার মনোযোগ অন্য দিকে নেয়ার চেষ্টা করেন। নানাভাবে নাটকীয়তার মাধ্যমে অনেক প্রমাণাদি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। লাইভ এর অন্তরালে মিডিয়াসহ বিভিন্ন রাঘব বোয়ালের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা করতে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন।মূলত চলচ্চিত্রের বাইরে তিনি নানা অপরাধে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা অসংখ্য অভিযোগ ইতিমধ্যেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছিল, ফলে বেশ কয়েকদিন যাবৎ তারা তার কার্যবিধির উপর লক্ষ্য রাখছিলেন। ফলে পরিমাণ মাদক ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি চাইলেও সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হন ।
উল্লেখ্য যে- উত্তরা বোট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নাসির ইউ আহমেদ এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন। উক্ত ঘটনায় নাছিরকে গ্রেপ্তার করা হলে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট পরিমনির বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ তাদের হাতে চলে আসে । কখনোই ঢাকাই সিনেমার বাইরে বিভিন্ন অপরাধে পরীমনির সংশ্লিষ্টতা তাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।